হাওর বার্তা ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ফোকাল পয়েন্ট দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অপরদিকে বিএনপির ফোকাল পয়েন্ট দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার ছিল ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর ফোকাল পয়েন্টের নাম ও ঠিকানা দেওয়ার শেষ সময়।
নির্বাচন কমিশন সূত্র থেকে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দেশের এই দুই শীর্ষ রাজনৈতিক দল ইসিতে তাদের ফোকাল পয়েন্টের নাম চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছে।
এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ে দলের ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে ১৬টি রাজনৈতিক দল।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, বুধবার পর্যন্ত দুটি দলের ফোকাল পয়েন্ট ব্যক্তির তালিকা পেয়েছেন। এর মধ্যে আওয়াম লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে ক্ষমতাসীন দলের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত আলাদা ছকে ফোন, ফ্যাক্স, মোবাইল, ইমেইল ও পত্র যোগাযোগের ঠিকানা দেওয়া হয়।
অপরদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফোকাল পয়েন্ট।
প্রসঙ্গত, আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপ হবে। এ অবস্থায় দলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ১২ জুলাই ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে একজনের নাম চেয়েছিল কমিশন।
এদিকে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে ইসিতে চিঠি দিয়েছে ১৬টি দল। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সব স্তরে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্বের অগ্রগতি সম্পর্কে আজ পর্যন্ত ১৬টি দল জবাব দিয়েছে। গত ১৩ জুন ৪০টি দলের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চেয়েছিল ইসি। দলগুলোর এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। এ পর্যন্ত চিঠির জবাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ, খেলাফত মজলিস, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), কল্যাণ পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।
ইসি থেকে জানা যায়, দলগুলোর অধিকাংশই ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্বের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে। নির্ধারিত সময় পার হলেও অধিকাংশ দলের সাড়া না পাওয়ায় পরবর্তী করণীয় বিষয়ে শিগগির কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তারা।